নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকার(৪০)কে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীর থেকে দুটি পা সহ একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বদর খন্দকারের আত্মীয়রা জানায়, সোমবার(২৪ ফেব্রæয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকার কালনাঘাটস্থ নিজ ইটভাটা থেকে মোটরসাইকেলে করে কামঠানা নিজ বাড়িতে ফেরবার পথে চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সাবেক চেয়ারম্যানের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে বদর খন্দকারের শরীরের দুপায়ের হাটুর কবজির নিচ থেকে কেটে পড়ে যায়। এছাড়াও তার বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল সহ ডান হাতের কবজি কেটে ঝুলে যায়।
লোহাগড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার সুমনা খানম ও বদর খন্দকারের আত্মীয় আলিম, সাইদ আলমসহ জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত অন্যরা জানান, ধারালো অস্ত্রের কোপে বদর খন্দকারের দুপাসহ বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল ও ডান হাতের কবজি কেটে ঝুলে গেছে । অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাবেক ওই চেয়ারম্যানের আত্মীয় কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পথে বদর খন্দকারের মৃত্যু হয়েছে।
বদর খন্দকারের পরিবারসহ এলাকাবাসী জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার প্রতিপক্ষের সাথে বদর খন্দকারের বিরোধ চলছিল।
লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান,আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। পরিবেশ শান্ত আছে। অস্ত্র উদ্ধার ও সন্দেহভাজনদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Development by: webnewsdesign.com