ব্রেকিং

x

করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট আবিষ্কারক -

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বাঙালি জাতির স্যালুট করা দরকার!

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০ | ১০:৩৪ অপরাহ্ণ | 500 বার

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বাঙালি জাতির স্যালুট করা দরকার!
ছবি- স্বাধীন টিভি

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংস্থা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরো টিম রাত দিন পরিশ্রম এর পর অবশেষে করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কার করেছে। যে কিট এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা সেটি জানা যাবে মাত্র ৫ মিনিটে।

এ কিট সম্পর্কে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের নিকট বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি কারণ আমরা খুবই অনুতপ্ত যে করোনাভাইরাস এ প্রকল্পে একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু এর কোনো গ্রহণযোগ্য প্রতিশোধক এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি কোন বিশ্বের কোন স্বাস্থ্য বিশ্লেষক ।



ইতিমধ্যেই আমাদের বাংলাদেশ করোনাভাইরাস এর ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। হোম কোয়ারান্টাইনে আছে প্রায় চার হাজারের মতো বিদেশ ফেরত মানুষ।এতগুলো মানুষের জীবন রক্ষার্থে আমরা তৈরি করেছি করোনাভাইরাস পরীক্ষার এক কিট।কোন ব্যক্তি করনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা মাত্র ৫ মিনিটে জানার জন্য আমাদের এই পরিশ্রম। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে বাংলাদেশের অনেক ব্যক্তি জ্বর ,সর্দি ,কাশি ইত্যাদি লক্ষণ থাকার কারণে হাসপাতালে ভিড় করছেন অথচ করোনায় আক্রান্ত নয়। হাসপাতালে ভিড় হওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষের সমাগমে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রভাব আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

মূলত এই বিষয়টি মাথায় রেখে যাতে একজন ব্যক্তি খুব অল্প সময়ে করোনা ভাইরাস টেস্ট করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য আমরা এই কিট আবিষ্কার করেছি।

যদিও কিট আবিষ্কার করতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কে পোড়াতে হয়েছে বিভিন্ন প্রকার ঝড়-ঝাপটা। আবিষ্কারের কাঁচামাল এর অর্থায়ন যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবকে।

আমরা জানি যে ২০০৩ সালে যখন সার্ক ভাইরাসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন আমাদের বাংলাদেশের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুরের একটি গবেষণাগারে কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে সার্ক ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।পরবর্তীতে এই পদ্ধতি কে কাজে লাগিয়ে চীন সরকার সার্ক ভাইরাস মোকাবেলা করেছিল।

এমন একটি বীরত্বপূর্ণ সফলতা ও সাধনার জন্য আমরা বাঙালিরা কজনই বা আমাদের বাংলাদেশের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল মহোদয় প্রতি কৃতজ্ঞতা ও গর্ব বোধ করি। অপরদিকে আমরাতো প্রায় ভুলতেই বসেছি এমন একজন বীরত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য বিশ্লেষক কে।

অনুরূপভাবে হতে চলেছে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বীরত্বপূর্ণ আবিষ্কার করোনা ভাইরাস টেস্ট কিট। তাই আজকের এই লিখিত অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে আমি বাংলাদেশ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহ তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরো দলকে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা পূর্ণ সালাম ও স্যালুট করছি।

লেখক: সুজন শর্মা
(সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী)

নামাজের সময়সূচি

[prayer_time]

Development by: webnewsdesign.com