ব্রেকিং

x

বাড়ি, উঠান, শয়নকক্ষ- যেখানে সীমানাখুঁটি বসবে, সেখানেই খাল খনন: মেয়র আতিক

বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:৩২ অপরাহ্ণ | 201 বার

বাড়ি, উঠান, শয়নকক্ষ- যেখানে সীমানাখুঁটি বসবে, সেখানেই খাল খনন: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ফাইল ছবি

বাড়ির ভেতরে, উঠানে কিংবা শয়নকক্ষে—যেখানে খালের সীমানাখুঁটি স্থাপন করা হবে, সেটাই খালের জায়গা এবং সেখানেই খাল খনন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

আজ বুধবার সকালে ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২৯টি খাল ও ১টি রেগুলেটিং পন্ডের সীমানা নির্ধারণ প্রকল্পের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিক অবৈধ দখলদারদের উদ্দেশে এ হুঁশিয়ারি দেন। রাজধানীর গাবতলীতে ডিএনসিসির আওতাধীন কল্যাণপুর জলাধার ও পাম্প হাউস এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, খালের সীমানা নির্ধারণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সীমানা চিহ্নিত করার পর খুঁটি বসানোর কাজ করতে গিয়ে দেখা যাবে, সেটি হয়তো কারও বাড়ির ভেতর, উঠান কিংবা শয়নকক্ষে বসবে। খুঁটি বসানোর পরপরই ওই লোকদের নিজ দায়িত্বে সেই বাড়ি কিংবা স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে। যদি সেটা না করা হয়, তবে বুলডোজার চালিয়ে সব ভেঙে দেওয়া হবে।

যেকোনো ধরনের বাধা অতিক্রম করে খাল উদ্ধার করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সীমানাখুঁটি যেখানে বসবে, সেটাই খালের জায়গা, সরকার ও জনগণের জায়গা। ওই জায়গা আমার, আপনার কারও ব্যক্তিগত জায়গা নয়। তাই ওই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে, জলাবদ্ধতামুক্ত শহর গড়ার স্বার্থে কঠিন হতে হবে। খালে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে যেখানেই বাধা আসবে, তা অতিক্রম করা হবে।’

সীমানা চিহ্নিত করার কাজে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘খালের দায়িত্ব পাওয়ার পর যেখানে যে খালেই যাচ্ছি, লোকজন খালের জায়গাকে নিজেদের দাবি করছে। তাই খাল উদ্ধার করতে হলে স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন। আর স্থায়ী সমাধান হচ্ছে আগে সীমানা নির্ধারণ।’

মেয়র আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে খালের সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে সেই কাজ যে কবে শেষ হবে, সেটা বলা দুরূহ ব্যাপার। তাই প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে আগামী এক বছরের মধ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন সব খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে। সীমানা নির্ধারিত না থাকার কারণেই কল্যাণপুর জলাধার ও পাম্প হাউস এলাকায় আধুনিক ইকোপার্ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধন করা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এক বছর মেয়াদে খালগুলোর বৈধ বিস্তৃতি ও সীমানা নির্ধারণ, সীমানা চিহ্নিতকারী খুঁটি স্থাপন, খালের প্রবাহ বন্ধ করা স্থাপনা চিহ্নিতকরণ, খালের পানির দূষণের পরিমাপ ও দূষণের স্থানগুলো চিহ্নিত করার কাজ হবে। সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ দেওয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ঢাকা ডিএনসিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নামাজের সময়সূচি

[prayer_time]

Development by: webnewsdesign.com