স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় মাহমুদা সুলতানা পলি(২৮) নামে এক গৃহবধু শাশুড়ি ও ননদের মারপিটের শিকার হয়েছেন। স্বামীর নির্দেশে ওই গৃহবধুকে মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই গৃহবধু লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দোয়ামল্লিকপুর গ্রামে।
গৃহবধুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার দোয়ামল্লিকপুর গ্রামের ইদ্রিস মোল্যার ছেলে শাহরিয়ার ছরোয়ার সুমনের সাথে গোপীনাথপুর গ্রামের আবু সাইদ মোল্যার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা পলির ২০১১ সালে বিয়ে হয়।
নির্যাতিত ওই গৃহবধু অভিযোগ করেন, বিয়ের কিছুদিন পরে যৌতুক লোভী স্বামী চাকরীর কথা বলে আমার পিতার পরিবার থেকে নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয়। এর পরে মোটরসাইকেল কেনবার জন্য শ^শুরালয় থেকে নগদ ১ লাখ টাকা এবং চাকরীর জন্য আরো ৫০ হাজার নগদ টাকা নেয়।
গত ৬ বছর যাবত স্বামী-স্ত্রী দুজনে ঢাকায় বেসরকারি কম্পান্নিতে চাকরীর সুবাদে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। লোহাগড়াতে হঠাৎ এসে গত ৩১ জানুয়ারি শাহরিয়ার ছরোয়ার সুমন চরমল্লিকপুর এলাকায় টুম্পা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। স্বামী আবার বিয়ে করেছে এখবর পেয়ে গত ১ ফেব্রæয়ারি মাহমুদা সুলতানা পলি ঢাকা থেকে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। ২ ফেব্রæয়ারি দোয়ামল্লিকপুর গ্রামে শাশুর বাড়িতে গিয়ে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথা বলায় শ^শুর বাড়ির ঘরের মধ্যে ও উঠানে ফেলে শাশুরের উপস্তিতিতে শ^াশুড়ী পেয়ারা বেগম ও ননদ সীমা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে গৃহবধুকে বেদম মারপিট করে এবং রান্না করা বঠি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। স্থানীয় লোকজন মাহামুদার চিৎকারে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত শাহরিয়ার ছরোয়ার সুমনের মোবাইলফোনে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। বরং কয়েক মিনিট পরে ফোন বন্ধ করে দেন। সুমনের পরিবারের কারো সাথেই যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Development by: webnewsdesign.com