মূল হোতা
আবু দাউদ গং ও আলমখাঁন
পাবনা জেলার বেড়া থানাধীন নতুন ভারেঙ্গা গ্রামে দীর্ঘ দিন যাবত পুরাতন ব্যাটারী ভেঙ্গে শিশা বের করে আগুনে পুড়িয়ে পূনরায় নতুন করে শিশা তৈরী করার করখানা করে প্রতিনিয়ত পুরাতন শিশা জ্বালানো হচ্ছে। যার বিষাক্ত ধোঁয়ায় দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে গ্রামের সাধারন নিরীহ মানুষ অপর দিকে শিশাযুক্ত ঘাস খেয়ে প্রতিনিয়ত বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে গবাদি পশু। লিখিত ভাবে অভীযোগ করলেও মোটা অংকের টাকা নিয়ে এ ব্যপারে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই। দায়িত্ব থাকা সত্বেও পরিবেশ অধীদপ্তরেরও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। এই প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারে না। প্রতিবাদ করলেই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের অসহায় সাধারন মানুষ আর গবাদি পশুর মৃত্যু ছাড়া কোন উপায় নেই। ইতি পূর্বে ২০১২সালে পাবনা র্যাব ১২এর ব্যাটালিয়ান কমান্ডার মেজর আমজাদ রিপোর্টের ভিত্তিতে এলাকা পরিদর্শন পূর্বক ঘটনার সত্যতা নিরুপুন করে শিশা পোড়ানো বন্ধের ব্যবস্থা নেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রশাসনের সহায়তায় ইউনিয়নের চরাঞ্চলে পূনরায় অসংখ্য চুলা তৈরী করে শিশা পোড়ানো কারখানা করে। সে কারনে ওই অঞ্চলেও মানুষ শিশার বিষাক্ত ধোয়ায় দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে গবাদি পশু। এ দুর্ভোগের প্রতিকার কি? রক্ষক যেখানে ভক্ষক, সেখানে সাধারন মানুসের জান মালের নিরাপত্তা কোথায়? এই বিষাক্ত দূষনের মৃত্যু থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা খুবই জরুরী। যে বিষাক্ত শিশায় মানুূষ মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে, মারা যাচ্ছে অবলা পশু, সে দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন ঐ গ্রামের আবু দাউদ গং ও আলম খাঁনরা।
Development by: webnewsdesign.com