বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে ‘কিছুই করার নেই’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছরের ১৯ এপ্রিল তাঁর দণ্ড ছয় মাস স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফায় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কয়েক মাস আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। তাঁর আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসকেরা বলেছেন, জটিল রোগ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত তিনি। কয়েক দফা রক্তক্ষরণের কারণে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাইছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকেও আবেদন করা হয়েছে, যাতে ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী কথা বলেছেন। আইনে কোনো সুযোগ নেই। এখন এটার কিছু করতে পারছি না।’
সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম–৮ চাঁদগাও থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কক্সবাজারে নারী ধর্ষণের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্য আসার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
Development by: webnewsdesign.com