রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ |
১০:৫৩ অপরাহ্ণ | 1110 বার
প্রধান মন্ত্রী অষ্ট্রেলিয়া সফরে গতকাল শনিবার সন্ধায় সিডনিতে এক নাগরিক সংবর্ধনায় বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলা দেশকে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে ২০বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রনয়নের কাজ শুরু হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি। এদিকে বিকালে অষ্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রী ম্যালকন টার্নবুলের বাসভবনে বৈঠক করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন অষ্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রী। এর আগে সকালে সিডনির প্যারাাম্যাটাস ওযেস্টার্ন সিডনি ইউনিভারসিটির সাউথ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন শেখ হসিনা। এসময় তিনি অষ্ট্রেলিয়ায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের সর্Ÿচ্চ সুযোগ কাজে লাগানোর আহব্বান জানান। প্রধান মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ ক্যাম্পাসে ইনষ্টিটিউট অব ওসন গভর্নেন্সের সামনে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। উচ্চতর শিক্ষার জন্য প্রায় ২০০ শিক্ষার্র্থী ওয়েষ্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। প্রধান মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এল ডিসি থেকে গ্রাজুয়েশনের মাধ্যমে উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আমাদের আরও বেশী মানবিক ক্ষমতা দারকার। ম্যালকন টার্নবুলের সংগে বৈঠকে ১৯৭২ সালের ৩১ শে জানুয়ারী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কের কথা স্বরন করেন শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার পর বিশ্ব নেতাদের মধ্যে যারা বাংলা দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অষ্ট্রেলিয়ার তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা এড ওয়ার্ড গফ হুইটলামকেত্ত স্বরন করেন তিনি। এডওয়ার্ড গফ তখন বাংলাদেশীদের উপর পাকিস্তানী সেনা বাহিনীর অত্যাচারের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। স্বাধীন বাংলা দেশের জন্য কমন ওয়েলথ সহ অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি আদায়েও জোরালো ভূমিকা ছিল অষ্ট্রেলিয়ার এ রাজনীতিকের। পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহিদুল হক, প্রধান মন্ত্রীর কার্য্যলয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নাসিমা খানম এবং অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোঃ সফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।