কুপিয়ে হত্যা করার কথা মুঠোফোনে স্ত্রীর ভাইকে জানিয়ে পালিয়ে গেছেন স্বামী। আজ মঙ্গলবার ভোরে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের টেবুনিয়া ফলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ হলেন হামিদা খাতুন (৩৫)। তাঁর অভিযুক্ত স্বামীর নাম তেজেম মোল্লা (৪৫)। তিনি একই সঙ্গে হামিদার চাচাতো ভাই।
নিহত গৃহবধূর স্বজনেরা জানিয়েছেন, প্রায় ১৮ বছর আগে তেজেম মোল্লা তাঁর চাচাতো বোন হামিদা খাতুনকে বিয়ে করেন। ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। পারিবারিক জীবনে তাঁরা দুই সন্তানের জনক-জননী। এরই মধ্যে হঠাৎ তেজেম মোল্লা অন্য এক নারীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে হামিদা খাতুন প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এর জেরেই গতকাল সোমবার রাতে তাঁরা আবার বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। আজ ভোরে ঝগড়ার একপর্যায়ে তেজেম মোল্লা তাঁর স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে তিনি বিষয়টি স্ত্রীর বড় ভাই হামিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
হামিদুল ইসলাম বলেন, তেজেম মোল্লা তাঁর বোনকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করেছেন। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করে আবার নিজেই ফোন করে বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। ফোন পেয়ে তাঁরা দ্রুত তেজেম মোল্লার বাড়িতে ছুটে গিয়ে বোনের রক্তাক্ত লাশ পান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোনকে বিনা অপরাধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। তাঁকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। নিহত নারীর ভাই হত্যা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলাটি করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com