শাহবাগে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপে আন্দোলন কারীরা শাহবাগ থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিএসসির রাজু ভাস্কর্সের কাছে সমবেত হয়ে সেখানে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশের সংগে দফায় দফায় আন্দোলন কারিদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর পর গতকাল রাত ভর পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংগে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের দুই শতাধিক আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল সহ অন্যান্য মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। আন্দোলন কারীদের অর্ধশত গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সেখানে যান এবং প্রধান মন্ত্রী তাদের বিষয়টি অবগত আছেন বলে তিনি তাঁদের জানান। প্রধান মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল কাদেরকে সকালে আন্দোলন কারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কথায় আন্দোলন কারীরা থামেনি দফায় দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রাত ১২টায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের গুজবে আবার উত্তেজিত হয়ে উঠে আন্দোলন কারীরা। এরপর ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা আন্দোলনে যোগ দেয় এবং গেটের তালা ভেঙ্গে ৫ শতাধিক ছাত্রী ভিসির বাস ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দেলনের একটি অংশ লাঠি দিয়ে ভিসির গেটের তালা ভেঙ্গে দেওয়াল টপকিয়ে গাড়ীসহ বাস ভবনে ভাংচুর করে। অত:পর বাসার ভেতরে ঢুকে ভাংচুর তান্ডব চালায়, এ পরিস্থিতিতে বাসার লোক জন ভিতরে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকে। ভিসি সামনে এলে তাঁকে মারতে উদ্দ্যত হলে সাংবাদিকরা ঘিরে রেখে তাঁকে রক্ষা করেন। এ সময় দুটি গাড়ী পুড়িয়ে দেয়। বাসভবনে তান্ডবের সময় বাসা থেকে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার ও লুট করে। হামলার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষ দর্শী প্রধান নিরাপত্তা কর্মী হাসান আলী জানান, আমি চল্লিশ বছর ধরে বাসভবনে কর্মরত আছি, এমন ভয়ংকর হামলার ঘটনা কখনো দেখিনি। তান্ডবকারীরা তাঁর টাকা পয়সা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। ভিসির বাসভবনে হামলার খবর পেয়ে বিভিন্ন হল থেকে রাত্র ২টার সময় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা লাঠি সোটা ও রড নিয়ে ভিসি চত্ত্বরে অবস্থান রত আন্দেলন কারীদের ধাওয়া দেয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলন কারীরা একই ভাবে আন্দোলন করে।