বেপরোয়া চলাচল, পাল্লাপাল্লি, ও বিশৃঙ্খলায় প্রান হারাচ্ছে মানুষ অথবা পঙ্গুত্ব বরন করে জীবনের সব স্বপ্নকে জলাঞ্জলী দিয়ে দুঃখ , বেদনায় ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। জীবন যাত্রায় এহেন পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজনকে হতে হচ্ছে স্বমী হারা, ছেলে মেয়েরা হচ্ছে বাবা হারা, আর মা হারাচ্ছে তাঁর কলিজার টুকরা সন্তানকে। পঙ্গুত্বের কারনে গোটা পরিবার পতিত হচ্ছে ধ্বংসের মুখে বড় বড় রাঘব রোয়ালিরা নিয়ন্ত্রন করছে পরিবহন ব্যবসা। প্রতিদিন রাজধানীতে পরিবহন চলে ৮ হাজার।দিনে বাস প্রতি ৭০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। প্রতিদিন চাঁদা ওঠে প্রায় এক কোটি টাকা। যত্রতত্র যাত্রী উঠা নামা, ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন, বিশৃঙ্খলা রাজধানী ঢাকার গন পরিবহনের নিত্য দিনের দৃশ্য। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও ফিটনেস বিহীন গাড়ী ও লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে খুব একটা ব্যবস্থা না নেওয়ায়, চালকরাও বেপরোয়া মনোভাব দেখান। সরকারী নির্ধারিত ফি এর বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের শায়েস্তা করতে বিভিন্ন স্থানে নির্জনে লোক রাখেন পরিবহন মালিকরা। পরিবহন খাতের মালিক শ্রমিক সূত্রে জানা যায় প্রভাব মালী রাজনীতিকেরা আবেদন করলে, চাহিদা কিংবা বিশৃংখলতার কথা না ভেবেই চলাচলের অনুমতি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে কারনে অপ্রয়োজনীয় বা অপরিকল্পিত রুট সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে রাস্তায় পাল্লাপাল্লি রেষারেষীর কারনে প্রান হারাচ্ছে সাধারন মানুষ। যার সর্বশেষ শিকার কলেজ ছাত্র রাজীব হোসেন। প্রতিটি বাসের যাত্রী ওঠা নামার নির্ধারিত স্থান আছে। কিন্তু কেউ তা মানছেনা, যাত্রী তোলা হয় ইচ্ছামত। এমন এক দৃশ্য দেখা যায় বৃহস্পতিবার শ্যামলী এলাকায়। এ সকল নৈরাজ্য বন্ধ করতে অনতি বিলম্বে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর হতে পরিবহন আইনের নিয়ম নীতি প্রয়োগ করে, বেপরোয়া নৈরাজ্যের অবস্থা থেকে যাত্রীদের জান মালের নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থা করা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
Development by: webnewsdesign.com