বীমার টাকা গ্রাহক যেন ঠিকভাবে পান সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১ মার্চ) রাজধানীতে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, এ খাতে উৎসাহ বাড়াতে কাজ করছে সরকার।
বীমা নিয়ে গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট দূর করার পাশাপাশি, বীমা সেবা সহজীকরণ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে দেশের সকল বীমা কোম্পানিকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত অটোমেশন পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে বীমাখাতে দক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীমার দাবিকৃত অর্থ পেতে গ্রাহকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বলেন, আমাদের দেশে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা খুবই কম। বীমা মানুষের সেবা দিতে পারে, বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে এর মাধ্যমে।
আমাদের দেশে একটা জিনিস আছে যা আপনারা খেয়াল রাখেন কিনা জানি না এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার পর পর পাটের গুদামে আগুন লাগত আর ইন্সুরেন্স কোস্পানির টাকা পেত। দেখা যেত পাটগুলো বিক্রি করে দিয়ে গুদামে আগুনে দিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে তা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আরো জানান, আমাদের ক্ষেত্রে কাজটা শুরু হয়েছিল আরেকটা ক্ষেত্রে, আপনাদের মনে থাকবে ঘন ঘন পোশাক কারখানায় আগুন লাগতো। তখন ব্যাপাটা আমার মাথায় আসে যে এতো ঘন ঘন আগুন লাগে কেন।
ইন্সুরেন্স কোম্পানির টাকা খাওয়ার জন্য বোধ হয় আগুন লাগায়। গোয়েন্দা সংস্থাকে এ নিয়ে দায়িত্ব দেয়া হলো কেন আগুন লাগছে, কিভাবে লাগছে কিসের জন্য আগুন লাগছে। আসলে সত্যিই আগুন লাগছে কিনা বা ফেক কিনা তদন্তে জন্য। সেটাও কিছু কিছু ধরাও পড়েছে।
কাজেই এতটুকু বলতে চাই যারা পর্যবেক্ষক পাটাবেন তারা যেন সৎ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়। বিমার টাকা যেন পায় সেটাও যেন সঠিকভাবে পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
Development by: webnewsdesign.com