কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা-২০১৯ শুরু হচ্ছে শুক্রবার বিকেলে থেকে। কলকাতার জ্ঞান ও সৃজনশীল পল্লী বলে পরিচিত রবীন্দ্রসদনের মোহর কুঞ্জের এই মেলা চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।
শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মেলার উদ্বোধন করবেন। সেই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমসহ বিশিষ্টজনরা।
দুই বাংলার মানুষের মধ্যে সংযোগ তৈরির জন্য এই মেলা ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কলকাতায়। প্রথম কয়েক বছর গগনেন্দ্র সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হলেও পরে তা আলোর মুখ দেখে রবীন্দ্রসদন ও বাংলা একামেডি মাঠ প্রাঙ্গনে। কিন্তু সেখানেও জায়গা সঙ্কুলন না হওয়া ২০১৭ সাল থেকে মোহরকুঞ্জে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শুধু মাত্র বাংলাদেশের বই নিয়ে একক বই মেলা।
বাংলাদেশের জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে আসছে বলে জানান কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
তিনি বলেন, এবারের মেলায় দুই বাংলার বিশিষ্ঠজনদের নিয়ে প্রতিদিনই সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বললেন, গতবার ৬৩টি প্রকাশনী অংশ নিয়েছিল তবে এবার ৮০টি প্রকাশনী সংস্থাকে স্টলে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্টল কিন্তু ৬০টি।
কি করে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা তিনি জানাতে গিয়ে বললেন, ২০টি স্টলে দুটো করে প্রকাশনী সংস্থাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কারণ স্টলের সংখ্যা বাড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। কলকাতায় বাংলাদেশের বই মেলা সফল হওয়ার কারণেই বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক প্রকাশনী সংস্থা এই মেলায় আসাতে চাইছেন বলেও জানান তিনি।
এবারের মেলায় যেসব প্রকাশনী সংস্থা আসছে তাদের মধ্যে অন্যতম ইকরিমিকরি, সময়, ভাষাচিত্র, প্রথমা, পাঠক সমাবেশ, সন্দেশ, বাংলা প্রকাশ, আগামী প্রকাশনী, অন্য প্রকাশ, কাকলী প্রকাশনী, মাওলা ব্রাদার্স , অনুপম প্রাকশনী , অক্ষর, দিব্য প্রকাশ, কথা প্রকাশ, সৃজনী, ঐতিহ্য ও অনিন্দ্য প্রকাশ।
Development by: webnewsdesign.com