গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ১নং মাওনা ইউনিয়নের পোল্ট্রি খামারীরা ধ্বংসের মুখে। দিন যতই যাচ্ছে ততই যেন ডিমের দাম কমতে শুরু করছে। বাংলাদেশের কৃষির মধ্যে ব্রয়লার, লেয়ার একটি অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বড় থেকে ছোট খামার শুরু করে সকল পোল্ট্রি খামারিদের মধ্যে হতাশ বিরাজ করছে। দিন দিন ডিমের দাম কমাতে পোল্ট্রি খামারিদের মাথায় হাত। এভাবে যদি ডিমের দাম চলতে থাকে তাহলে পোল্ট্রি খামারীরা পরিশোধ করতে পারছে না ব্যাংক ঋণ ও দোকানের ঋণ। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পোল্ট্রি খামারী ব্যবসায়ীরা মুরগি পালন শুরু করে। কিন্তুু আমাদের দেশের প্রত্যেক এলাকার মধ্যে অন্যতম শিল্প হচ্ছে মুরগির পোল্ট্রির খামার। গাজীপুর শ্রীপুর থানার অর্ন্তগত ১নং মাওনা ইউনিয়ন সিংগারদিঘী গ্রামে খামারী মালিক মাসুদ ফিড মিল লিঃ এমডি মোঃ ফজলুল হক ফরাজী বলেন, ডিমের দাম কমাতে আমার খামার এখন ধ্বংসের মুখে যদি সারা বছর ডিমের দাম কম থাকে তাহলে আমার খামার অচিরেই ধ্বংসের হয়ে যাবে। শ্রীপুরে পোল্ট্রি খামারী ব্যবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ব্যবসায়ী আজিরন পোল্ট্রি ফিড লিঃ মালিক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডিমের দাম যেভাবে কমতে শুরু করছে এতে সাধারণ পোল্ট্রি খামার দরে রাখা সম্ভব নয়। না পারি শ্রমিকের বেতন দিতে না পারি ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে অথচ বিগত ২০ বছর ধরে শ্রীপুরে মাওনা অসংখ্য বেকার যুবক এ পোল্ট্রি শিল্পের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ডিমের বাজার মূল্য কম থাকাতে অচিরেই এ শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে আমি মনে করি। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন যে ডিম উৎপাদন হয় তা বিক্রি করতে পারি না। যদি বিক্রি করতে না পারি তাহলে এই গরমে আমার খামারের ডিম পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আমার লাখ লাখ টাকা মূল্যের ডিম ক্ষতি হচ্ছে। সলিংমোড়ের ব্যবসায়ী উজ্জল হোসেন বি.এ বলেন, আমার খামার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে যদি ডিমের দাম কমতে থাকে তাহলে আমার মরা ছাড়া কোন উপায় নাই। ডিম উৎপাদন করে কোন লাভ নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়। এতে করে আমি মারাতœক ক্ষতির সম্মুখীন। এই পোল্ট্রি খামার চালানো সম্ভব নয়। এবং ডিমের দাম কমতে থাকলে আমরা কোথায় দাড়াব। মরার উপর খাড়ার ঘা। এত লোকসানের পড়ে যদি ব্যাংক লোন নিতে চাই ব্যাংক কর্মকর্তারাও ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রত্যেক খামারী ব্যবসায়ীদের আর্ত চিৎকারে রাস্তায় পড়ে যেকোন সময় আত্মহত্যা করতে পারে। লাল ডিম উৎপাদন খরচ ৬ টাকা, সাদা ডিম ৫.৮০ টাকা। বিক্রি লাল ডিম ৪.২৫ টাকা, বিক্রি সাদা ডিম ৪.০০ টাকা। প্রতি হাজার মুরগীতে ডিম উৎপাদন পর্যন্ত খরচ ৮লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। প্রতি হাজারে এই বছরে ক্ষতি ৯ লক্ষ থেকে ১১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন মুরগির পোল্ট্রি খামারী ব্যবসায়ীবৃন্দ।
Development by: webnewsdesign.com