শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুদের প্রতি কোনো অন্যায়-অবিচার বরদাশত করা হবে না। যারা শিশু নির্যাতন করবে তাদের অবশ্যই সাজা পেতে হবে। কঠোর সাজা পেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিটি শিশুর ভেতর একটা মনন রয়েছে, একটা চেতনা রয়েছে, একটা শক্তি আছে। সেটাকে বিকশিত করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খেলাধুলা ও সংস্কুতি চর্চায় শিশুদের অংশ নিতে হবে। আর সমাজের খারাপ দিকগুলো, যেমন মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস– এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সততার সঙ্গে জীবনযাপন করতে হবে। শুধু নিজে খাব, নিজে করবো তা নিয়ে ভাবলে হবে না। অন্যদের চিন্তাটাও করতে হবে। সবাইকে শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো দেশের জন্য অনেক কিছু করত। মাঝে মাঝে মনে হয় ৫৪ বছর বয়সে কেমন হতো দেখতে তাকে? বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত চোখে থেমে যান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যখন সে আব্বা বলে ডাকতো তখন মা বলতো, আমি তোমার আব্বা। আমাকেই আব্বা ডাকো। সেই জন্যই সে জেলখানায় গিয়ে আব্বাকেও আব্বা বলে ডাকতো, আম্মাকেও আব্বা বলে ডাকতো।
তুহিন হত্যা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কী আশ্চর্য ব্যাপার বাবা হয়ে সন্তানকে হত্যা করে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Development by: webnewsdesign.com