মায়ের দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর যার কোন বিকল্প নাই। শিশুকে সুস্থ, সবল ও রোগ মুক্ত রাখতে মায়ের দুধ খাওয়ানো অতন্ত্য জরুরী। দক্ষিন এশিয়ার শিশুরা সবচেয়ে বেশী মায়ের দুধ পানের সুযোগ পায়। তবে বিভিন্ন কুসংস্কারের কারনে , বাংলাদেশের শিশুরা মায়ের দুধ পানের দিক দিয়ে দক্ষিন এশিয়ার অনান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে। এর মধ্যে নেপাল ও ভুটান ৯৯ শতাংশ, আফগানিস্তান ৯৮ শতাংশ ও দক্ষিন এশিয়ার অন্য যে কোন দেশের অনুপাত ৯৪ থেকে ৯৭ শতাংশ।
গত রবিবার ইউনিসেফের নতুন এক বিশ্লেষনে বলা হয়েছে , বিশ্বের অন্য যে কোন অঞ্চলের চেয়ে দক্ষিন এশিয়ার নারীরা বেশী সময় ধরে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। এ অঞ্চলে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বেশী সে কারনে দীর্ঘ সময় বুকের দুধ পায়। বাংলাদেশে শিশু জন্মের এক ঘন্টার পর হতে ছয় মাস পযর্ন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয় গুলো এখনো পযার্প্ত নয়। নবজাতকের এক ঘন্টার মধ্যে ৫১ শতাংশ মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা হয়। আর ছয় মাসের কম বয়সী ৫৫ শতাংশ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়। বুকের দুধ শিশুর প্রান ঘাতী রোগ থেকে জীবন রক্ষা করে। সে কারনে শিশুদের ২ বছরের অধিক সময় ধরে মায়ের দুধ খাওয়ানো জরুরী। কারন এতে শিশুর বুদ্ধি বিকাশ, পুষ্টির উৎস ও মৃত্যুর হার অধের্ক প্রতিরোধ করতে পারে। অনেকাংশে দেখা যায় অনেক নারী বুকের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার ভয়ে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকেন। তার বিপরীতে নামী দামী বেবী ফুড খাওয়ান। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে ২ বছর বেশী সময় ধরে বুকের দুধ খাওয়ানোর মধ্যে অনেক উপকারিতা বিদ্যমান।
Development by: webnewsdesign.com