ব্রেকিং

x

লোহাগড়া পৌর প্রেস ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | 421 বার

লোহাগড়া পৌর প্রেস ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

নড়াইলের লোহাগড়া পৌর প্রেস ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে (২৩ ফেব্রæয়ারি) লক্ষীপাশা পোস্ট অফিসের সামনে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি শিমুল হাসান( দৈনিক কালের কণ্ঠ), সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুজ্জামান (দৈনিক নাগরিক ভাবনা), উপদেষ্টা সভাপতি মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর( দৈনিক ভোরের ডাক), উপদেষ্টা সম্পাদক মোঃ বুলবুল খান (ঢাকার ডাক), সহসভাপতি সিকদার উসমান গনি( বিজয় বাংলাদেশ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান( দৈনিক যশোর), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াছির আরাফাত ( দৈনিক নাগরিক ভাবনা), অর্থ সম্পাদক কাজী আল মামুন( দৈনিক অধিকার), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শাহেদ (দৈনিক নয়াদিগন্ত), মহিলা সম্পাদিকা ঋদ্ধি আজগার ঝিলিক( দৈনিক কল্যাণ), দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান শেখ, নির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল্লা হুসাইন, মোঃ আশরাফুল আলম, সিকদার জিয়াউর রহমান, মোঃ আলিমুজ্জামান আলিম।

এমপওিভুক্তরি কাজ। সখোনওে ব্যয় হবে কয়কে মাস। সে হসিাবে আগামী জুনরে আগে শক্ষিক এমপওিভুক্ত নয়িে এক প্রকার অনশ্চিয়তা দখো দয়িছে।েএকটি জাতকিে শক্ষিার আলোয় আলোকতি করে শক্ষিকসমাজ। সে শক্ষিকসমাজরে একাংশ প্রাপ্য ও র্মযাদা থকেে বঞ্চতি। তাদরে এমপওিভুক্ত বন্ধ রাখা কোনো যৌক্তকি কারণ হতে পারে না।

এ কথা বলার অপক্ষো রাখে না, শক্ষিা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। এজন্য শক্ষিাকে জাতরি মরেুদন্ড বলা হয়। কন্তিু একটু গভীরভাবে বশ্লিষেণ করলে বুঝতে অসুবধিা হবে না, শক্ষিা জাতরি মরেুদন্ডরে চয়েওে বশেি কছিু। কারণ মরেুদন্ডহীন প্রাণী (যমেন কঁেচো) চলতে পার।ে এক জায়গা থকেে অন্য জায়গায় যতেে পার।ে কন্তিু শক্ষিা? শক্ষিা ছাড়া কোনো জাতি চলতে পারে না। এ চলা মানইে জাতরি অগ্রগত,ি উন্নয়ন, সমৃদ্ধ।ি শক্ষিার দ্বারা র্অজতি হয় একটি জাতরি কাঙ্ক্ষতি উন্নত।ি

আবার যারা শক্ষিকতা পশোর সঙ্গে জড়তি তারা শক্ষিক। আবার পশোর দকি থকেে বলা হয় শক্ষিকতা একটি মহান পশো। জীবন-জীবকিা নর্বিাহরে জন্য যত পশো রয়ছেে তন্মধ্যে শক্ষিকতা শ্রষ্ঠে। শক্ষিা জাতরি মরেুদন্ড, সবশ্রষ্ঠে মহান পশো এ শব্দগুলো খুবই সম্মানজনক। শক্ষিা একটি চলমান প্রক্রয়িা। সময়রে চাহদিা ও যুগরে সঙ্গে তাল মলিয়িে বশ্বি এগয়িে যাচ্ছ।ে আমাদরে দশেও শক্ষিায় পছিয়িে নইে। একটি দক্ষ জনগোষ্ঠীও আলোকতি সমাজ গঠনে শক্ষিার কোনো বকিল্প নইে। তাই শক্ষিা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। বশ্বিে যে জাতি যত শক্ষিতি সে জাতি তত উন্নত।

চায়রে আড্ডায় গতকাল কথা হয় কছিু নন-এমপওি শক্ষিকরে সাথ।েনাম প্রকাশ না করার র্স্বাথে এক শক্ষিক কষ্টরে কথা বলতে গয়িে বললনে, সরকার থকেে কোনো বতেন পাই না। স্কুল থকেে মাস শষেে কছিু টাকা দয়ো হয়, তা দয়িে বড়ই কষ্টে জীবনযাপন কর।ি কউে দাওয়াত দলিে ভালমন্দ খতেে পাই, না হয় ডালভাত আর সব্জী। কবে যে মাছ-মাংস খয়েছে,ি মনে নইে। বললনে, এখন দাওয়াতওে যাই না। দাওয়াতে ভাল ভাল খাবার সামনে আনলে আমার স্ত্রী ও সন্তানদরে মুখ ভসেে উঠ।ে আমি মাছ-মাংস-কোরমা-পোলাও খাচ্ছ,ি আর আমার সন্তানরাতো বহুদনি মাছ, মাংস দখেনে।ি খাবারটা আর ভতিরে ঢুকে না।’ একথা গুলো বলার সময় দু’চোখ গড়য়িে অশ্রু ঝড়ছলি তার। কখন যনে আমার ও চোখ বয়েে বরেয়িে আসলো লোনা পান।ি

কছিুক্ষণ থমেে আরো যোগ করনে তনি,ি বড় ময়েরে বয়িরে বয়স হয়ছেে টাকার অভাবে বয়িে দতিে পারছি না। ছোট ময়েে এবার ক্লাস ফোরে পড়।ে সুন্দর দখেে একটা স্কুল ব্যাগরে বায়না ধরছেলি। আমি একটা স্কুল ব্যাগ কনিওে দয়িছেলিাম। ওর পছন্দ হয়ন।ি স্থানীয় বাজার থকেে কনো সস্তা দামরে ব্যাগ পছন্দ না হওয়া অস্বাভাবকি কছিু না। সহপাঠীদরে মতো দামি ও সুন্দর ব্যাগ চাই তার। কোথায় পাব টাকা। ময়েটোর কান্না দখে,ে নজিকেে মনে হয় আমি এক র্ব্যথ বাবা।’

সবাই সন্তানদরে নয়িে এ জায়গা ওই জায়গায় পকিনকিে যায়। আমার সার্মথ্য নইে, আমি বাচ্চাদরে নয়িে যাই ওদরে নানার বাড়তি।ে বাবা হসিবেে ওদরে কোন সাধ-আহ্লাদ আমি পূরণ করতে পারনি।ি তাই সদ্ধিান্ত নয়িছেে মরতে হলে মরব দাবি আদায় না করে বাড়ি ফরিে যাব না।

শক্ষিকরে কাছ থকেে বদিায় নয়িে আসলওে কাল সারাটাদনি আমার হৃদয়টা ছলি ক্ষতবক্ষিত। লাখো শহীদরে রক্তরে বনিমিয়ে এদশে স্বাধীন হয়ছেে অনকে বছর আগ।ে অথচ এখনো দশেরে শক্ষিকরা অন্নহীন। দুমুঠো ভাতরে জন্য তাদরে রাস্তায় নামতে হয়। ভাবতওে আমার কষ্ট হয়।

যে শক্ষিা নজিরে, পরবিাররে, সমাজরে ও দশেরে কাজে আসব।ে এক্ষত্রেে স্বল্প শক্ষিতি বকোরদরে জন্য উৎপাদনমুখী ও কারগিরি শক্ষিা খুব জরুর।ি পাশাপাশি সাধারণ শক্ষিাকে করতে হবে বশ্বি মানরে। এজন্য পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক যুগোপযোগী করতে হব।ে

শক্ষিার উন্নয়নে সবচয়েে বশেি ভূমকিা রাখনে শক্ষিকরা। তাদরেও প্রচুর পড়তে হব।ে নতুন নতুন কনসপ্টে, গবষেণা সর্ম্পকে ধারণা থাকতে হব।ে শক্ষিা ও গবষেণার বাইরে তাদরে অন্য কছিু নয়িে সময় ব্যয় করার সুযোগ নইে। কন্তিু জাতি গড়ার এ কারগিরদরে যদি দু’মুঠো ভাতরে অধকিাররে জন্য দনিরে পর দনি রাস্তায় ঘুমাতে হয়, তাহলে শক্ষিতি জাতি গঠনরে স্বপ্ন পূরণ হবে কভিাব?ে

আমাদরে রাজনীতকিরা দশেকে নয়িে কতই না স্বপ্ন দখেনে। কারো কারো এই স্বপ্ন, সইে স্বপ্নরে যে কাহনিী শুনি তা বইয়ে লপিবিদ্ধ করতে গলেে ওই বই দয়িইে লাইব্ররেি গড়া যাব।ে কন্তিু তারা জাতি গঠনে সবচয়েে বশেি যটেরি প্রয়োজন ‘শক্ষিা’ নয়িে কনে স্বপ্ন দখেলনে না। যদি দখেইে থাকনে তা হলে শক্ষিার কনে এমন দুরবস্থা? শক্ষিকদরে কনে বতেনরে জন্য কাঁদতে হব?ে

তথ্য-প্রযুক্তরি কল্যাণন পত্র-পত্রকিা মারফত যতটুকু জনেছেি তাহলো, স্বাভাবকি প্রক্রয়িায় এমপওিভুক্ত একটি সময় সাপক্ষে প্রক্রয়িা। র্বতমানে অনলাইনে এমপওির জন্য আবদেন করতে হয়। নয়িম অনুযায়ী, প্রত্যকে শক্ষিক-র্কমচারীর এমপওি-সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রতষ্ঠিান প্রধান অনলাইনে নর্দিষ্টি পদ্ধততিে আপলোড করবনে। এরপর তা উপজলোর মাধ্যমকি শক্ষিা র্কমর্কতা যাচাই-বাছাই করনে। তার মত,ে কাগজপত্র ঠকি থাকল,ে তা তনিি জলো মাধ্যমকি শক্ষিা র্কমর্কতার কাছে পাঠাবনে। তনিি ঐ কাগজপত্রে সন্তুষ্ট হলে তা পাঠাবনে আঞ্চলকি উপপরচিালকরে কাছ।ে উপপরচিালক তা নষ্পিত্তি করে চূড়ান্ত অনুমোদনরে জন্য এমপওি-সংক্রান্ত কন্দ্রেীয় কমটিতিে উপস্থাপন করবনে। সখোনে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পাব।ে

সংশ্লষ্টিরা বলছনে, এভাবে শক্ষিকদরে কাগজপত্র চারটি ধাপে যাচাই-বাছাই হয়। এ কারণে প্রত্যকেটি ধাপইে ধরনা দতিে হব।ে এই সুযোগে অনকেইে হয়রানি এবং ঘুষ বাণজ্যিরে শকিার হন। ঘুষ না দলিে ফাইল নষ্পিত্তি হয় না এমন অভযিোগ প্রায় সব শক্ষিকরে। এই চার ধাপে নষ্পিত্তি হতে কখনো ছয় মাসওে হয় না। সংশ্লষ্টি শক্ষিকরা বলছনে, এভাবে স্বাভাবকি প্রক্রয়িা অনলাইনে আবদেন নওেয়া হলে শক্ষিকরা হয়রানরি শকিার হতে পারনে। তাই তারা সনাতনী পদ্ধতরিও দাবি তুলছনে।

তথ্য অনুযায়ী, বদ্যিমান প্রক্রয়িায় মাউশরি অধীন শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানগুলোর প্রতষ্ঠিানরে কোড সৃষ্টি করা হয় প্রতি বজেোড় মাসরে এমপওি কমটিরি কন্দ্রেীয় বঠৈক।ে সইে হসিাবে সামনে বজেোড় মাস আছে র্মাচ এবং ম।ে যদি আগামী সপ্তাহে প্রতষ্ঠিান এমপওিভুক্তরি চূড়ান্ত গজেটে প্রকাশ করা সম্ভব হয় এবং অন্যান্য কাজ ঠকিঠাক মতো চলে তবে র্মাচ মাসে প্রতষ্ঠিানগুলো কোড নম্বর পাব,ে যে কোডে শক্ষিক-র্কমচারীদরে এমপওির র্অথ যাব।ে এরপর শক্ষিক-র্কমচারীদরে এমপওির জন্য আবদেন করতে হব।ে

উল্লখ্যে,গত বছররে ২৩ অক্টোবর এমপওিভুক্তরি ঘোষণা দনে প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা। সাড়ে ৯ বছর পর সরকার ২ হাজার ৭৩০টি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিান এমপওিভুক্ত কর।ে এর আগে ২০১০ সালে একসঙ্গে ১ হাজার ৬২৬টি প্রতষ্ঠিানকে একসঙ্গে এমপওি দওেয়া হয়। এমপওিভুক্ত ২ হাজার ৭৩০টি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানরে মধ্যে স্কুল ও কলজে ১ হাজার ৬৫১ট,ি বভিন্নি ধরনরে কারগিরি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিান এবং মাদ্রাসা ১ হাজার ৭৯ট।ি নতুন এই এমপওিভুক্তরি কারণে শক্ষিামন্ত্রণালয়রে দুই বভিাগে মোট ৮৮১ কোটি টাকা ব্যয় বড়েছে।ে

সবশষে,েশক্ষিানুরাগী মাতৃতুল্য শক্ষিাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নবিদেন- দশেরে অভাবনীয় উন্নয়ন, মধ্যম আয়রে দশে থকেে উন্নয়নশীল দশেে উত্তরণ ইত্যাদি সম্ভব হয়ছেে আপনার সুযোগ্য নতেৃত্ব।ে অথচ নন-এমপওি বসেরকারি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিান এমপওিভুক্তকরণরে বষিয়টি র্দীঘদনি ধরে ঝুলে আছ,ে যা মোটইে কাম্য নয়। প্রশ্ন হল, এমপওিভুক্ততিে আপনার দকিনর্দিশেনা এবং আশ্বাস থাকা সত্ত্বওে তাহলে বষিয়টি নয়িে ঘোলাপানতিে মাছ শকিাররে ষড়যন্ত্র হচ্ছ?ে সামান্য এ বষিয়টি কনে প্রশ্নবদ্ধি করছে আপনার র্পবতপ্রমাণ সাফল্যক।ে এমপওিভুক্তরি বষিয়টি সুরাহার জন্য আপনারকাছে তাই বনিীত অনুরোধ করছ,িযার মধ্যদয়িে শক্ষিকরা অন্তত্ত দু-বলো দু-মুঠো খয়েে পরে শক্ষিার মান উন্নয়নসহ দশেরে র্সাবকি কল্যানে ভুমকিা রাখতে পারব।ে
লখেকঃ এম.এ মারুফ সোহলে,
প্রভাষক(র্দশন)
জাতরি জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবি মমেোরয়িাল ডগ্রিী কলজে।
কালীগঞ্জ,ঝনিাইদহ।

নামাজের সময়সূচি

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

Development by: webnewsdesign.com