নড়াইলের লোহাগড়ায় মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চার
আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার লক্ষীপাশা
ইউপির আমাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় চার পুলিশ কর্তকর্তা আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত পুলিশ কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ, এএসআই
আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও খান বাবুল কে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে পুলিশ আমাদা গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা মামলার আসামি
গ্রেফতার করতে যায় । পুলিশ জানতে পারে আসামিরা পাশের কামালপ্রতাপ গ্রামে মাছের
ঘেরে ঘুমিয়ে আছে। এ সময় আলী আহম্মেদ খানের ছেলে রাঙ্গু খান (২৭), অহিদার খানের
ছেলে নাইস খান (২৫), গ্রামপুলিশ দাউদ মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (২৩) ও মন্টু
মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিককে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় আমাদা পশ্চিমপাড়া
মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয়, গ্রামে ডাকাত পড়েছে। এ ঘোষণায়
আসামিপক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলায় লোহাগড়া
থানার এসআই গোবিন্দ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও খান বাবুল গুরুতর
আহত হয়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, চার পুলিশ
কর্মকর্তাকে আহত করে আসামি ছিনতাই করে নেয়া হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে
শর্টগানের চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লোহাগড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাইমিন জিসান বলেন, সোমবার ভোরে আহত অবস্থায় চার
পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের
চিহৃ রয়েছে। জানা যায়, প্রায় আট মাস ধরে লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল কাশেম খান এবং প্রতিপক্ষ আলী আহম্মেদ খানের
সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছে।
Development by: webnewsdesign.com