চট্টগ্রাম নগরের জাকির হোসেন সড়কের ঝাউতলা রেলগেটের এক পাশে লোহার বার ফেলা ছিল। তবে অন্য পাশ ছিল খোলা। গেট খোলা থাকায় ওই পাশ দিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পো। এ সময় নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনগামী ডেমু ট্রেনের সঙ্গে গাড়িগুলোর সংঘর্ষ হয়। সেখানে গাড়িগুলোকে থামানোর চেষ্টা করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত হন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য। প্রাণ যায় আরও দুজনের।
রেলগেট না ফেলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে গেটম্যান আশরাফুল আলমগীর ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হলেন মো. মনির হোসেন (৪০)। নিহত আরেকজন হলেন সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ (৩০)। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামের নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনগামী ডেমু ট্রেনের সঙ্গে গাড়িগুলোর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গেটম্যান আলমগীর ভূঁইয়া রেলগেটের এক পাশে লোহার বার ফেললেও অন্য পাশেরটা ফেলেননি। এতে অটোরিকশা, টেম্পো ও বাস রেললাইনের ওপর চলে আসে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মনির হোসেন গাড়িগুলো থামানোর চেষ্টা করছিলেন। ওই মুহূর্তে ডেমু ট্রেন চলে আসে। ট্রেন গাড়িগুলোকে কিছুটা দূর টেনে নিয়ে যায়।
নগরের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম স্টেশনগামী একটি ডেমু ট্রেনের সঙ্গে গাড়ি তিনটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় রেললাইনের গেট ফেলা হয়নি। এতে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রেলগেট ফেলা না–ফেলা নিয়ে দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com