রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর্থিক সুবিধা আগামী পাঁচ বছর অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চামড়াজাত পণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাভারে চামড়া শিল্প নগরীর বর্ধিত প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মান ও এলডব্লিউজি সনদ অর্জন উপযোগী কম্পোজিট চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা কারখানা গড়ে তোলার জন্য কমপক্ষে ১৫০ একর জায়গা বরাদ্দ দেব এবং এরই মধ্যে আমরা সে জায়গা দেখেছি।’
তিনি বলেন, সকল রফতানি খাতের জন্য সমান সুযোগ ও নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। যে সব বৈষম্যমূলক প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে।
চামড়া খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নিয়ে এলএফএমইএবি এবং সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের ‘সোর্সিং শো’র আয়োজন করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এবং লেদার ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (এলএফএমইএবি) সভাপতি সাইফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতি নিয়ে একটি ভিজ্যুয়াল পেজেন্টেশনও পরিবেশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী আলোচনা পর্ব শেষে বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন এবং স্টল ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা রফতানিকারকদের সঙ্গে বিশ্বের আমদানিকারকদের যোগাযোগ ঘটানোর জন্য ‘ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি’ ওপর জোর দিচ্ছে।
ফলে, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্প গত এক দশকে পাট ও পাটজাত পণ্যকে রপ্তানি আয়ে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি আয়ের খাত হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখন এ খাতের আয় তৈরি পোশাকের পরেই জায়গা করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনও দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। বাংলাদেশের মতো সুবিধা আর কোনও দেশ দিতে পারবে না। সরকার চামড়া শিল্পের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতেও কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা রফতানি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছি। এ লক্ষ্যে রফতানি নীতি-২০১৮, ২০২১ আমরা বাস্তবায়ন করছি। পূর্ব ১ বছর ভিত্তিক করা হতো আমরা একটা লং ট্রাম প্রোগ্রাম নিয়েছি। এ অর্থবছরে ৩৬ পণ্যের ২০ শতাংশ নগদ সহায়তাসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি করা হয়েছে, ফলে রফতানিতে আয় পাচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com