নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসায় সরকারের বছরে ৩০-৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) টক-এ তিনি এ কথা জানান।
‘নির্বাচন ব্যবস্থা এখন আইসিইউতে’- নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আইসিইউ শব্দটি পরিচিত বলে তিনি (মাহবুব তালুকদার) ব্যবহার করেছেন। মিডিয়ায় কভারেজ পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এ ধরণের আরও কিছু শব্দ তিনি ব্যবহার করেছেন।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন কমিশন নিয়ে সমালোচনা থাকবেই। এটা বন্ধ করা যাবে না। সমালোচনা বন্ধ করতে হলে মার্শাল ল দিতে হবে। সেটা আর সম্ভব না। নবম জাতীয় সরকার নির্বাচনের সময় মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না। মুনুষের মাথায় লাঠি ধরে, বন্দুকের নল উঁচিয়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে বলেই তখন এটি এম শামসুল হুদা কমিশন প্রশংসা পেয়েছিল। গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে নির্বাচন করা কঠিন হলেও আগের সেই অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিনাভোটে বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ব্যাপকতা প্রসঙ্গে নূরুল হুদা বলেন, এতে কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। বিনাভোটে কেনো হলো তা দেখার এখতিয়ার কমিশনের নেই।
শতভাগ বা কোথাও তারও বেশি হারে ভোট পড়ার অভিযোগ সম্পর্কে নূরুল হুদা বলেন, ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেলে আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা কমিশনে বসে আগে থেকে কিছু জানতে পারি না।
ফলাফলের সরকারি গেজেট হওয়ার আগে এ ধরণের অস্বাভাবিক ঘটনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার আছে কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, কেন্দ্রের সমন্বিত ফলাফল আমাদের কাছে আসতে দেরি হয়। ফলাফল প্রকাশের আগে কমিশন নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আমাদের কাছে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসতে হবে।
Development by: webnewsdesign.com