পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় ভুয়া মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে মাসুম চৌধুরী আপন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
রবিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে প্রতারণার শিকার ওই কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে ভুয়া মেজর ও বিয়ের ঘটককে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পরে অভিযুক্ত মাসুম চৌধুরী আপন (৩৭) নামের এক প্রতারক ও ঘটক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এবার ইউপি নির্বাচনে মুখোমুখি দুই সতীনএবার ইউপি নির্বাচনে মুখোমুখি দুই সতীন
প্রতারক ভুয়া মেজর মাসুমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার পূর্বপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসে ঘটক সেলিনা বেগম সেনাবাহিনীর ভুয়া মেজর প্রতারক মাসুমকে নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ সময় মাসুম নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে তার দুই বোন ডাক্তার বলে জানায়। এতে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। পরে ১ নভেম্বর ঢাকা যাত্রাবাড়ির অজ্ঞাতনামা একটি কাজী অফিসে বসে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর গত ৬ নভেম্বর ভুয়া মেজর ওই কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি মঠবাড়িয়াতে বেড়াতে আসেন। সেখানে চাকুরিতে প্রমোশনের কথা বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার পরে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেজর পরিচয়দানকারী মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সঠিক কোন উত্তর দিতে না পাড়ায় আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার কারণ জানালেন সিইসিইউপি নির্বাচনে সহিংসতার কারণ জানালেন সিইসি
মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাসুম একজন প্রতারক। সে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কখনো সিকিউরিটি গার্ড আবার কখনো নিজেকে জুট ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন। মেজর পরিচয়দানকারী মাসুম ও ঘটক সেলিনাকে রবিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com