প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘ভয় শব্দটি আমার অভিধানে নেই।’ চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে বিরোধী দলের বিষয়টি কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভয় পেলে আমি এই অভিযানে নামতাম না। অপরাধী কোন দলের তা বিষয় না। অপরাধী অপরাধীই। কোন দল কি বলল সেটা বিবেচ্য না। যারা বলছেন তারাই তো দুর্নীতির খনি। বিএনপির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে দলের চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়ে কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও দুর্নীতির দায়ে পলাতক। যে দলে এতো দুর্নীতিবাজ রয়েছে তারা আবার কি বলবে। তারা কোন সাহসে কথা বলে?
তিনি বলেন, সব কথা শুনলে রাষ্ট্র চালাবো কখন। ভয় শব্দটা আমার অভিধানে নেই। আমি যখন এ দেশে পা দিয়েছি তখন আমি ভেবেছি আমার পরিবারের হত্যাকারীরা এ দেশের ভালো ভালো যায়গায় আছে। আমাকে যে কোনো সময় হত্যা করতে পারে। আর সব ভেবেই আমি এ পর্যন্ত এসেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছেন।
চলমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ অভিযান করে আইওয়াশ করা হচ্ছে, আসলে বিষয়টা কি এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইওয়াশের ব্যবসা বিএনপি ভালো জানে। যারা অপরাধী আমরা তাকেই ধরছি। এটা আইওয়াশ হয় কেমন করে। জিয়াউর রহমানের সময় এসব হতো। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর তারা অত্যাচার করতো। এরশাদ সাহেব আরো একধাপ এগিয়ে ছিলেন। আমরা আসার পর দুর্নীতি কমছে।
তিনি আরো বলেন, সকল জনগণ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। আমরা দেশ চালাতে এসেছি। আমরা কাউকে ধরে কারো থেকে কমিশন আদায় করি না।
এদিকে, আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ বিষেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিসিবি সাকিবের পাশে আছে, তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিবে। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর সাকিব সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি। তার জানানো উচিৎ ছিল বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সাকিব ভুল করেছে সেটা সে বুঝতে পেরেছেন। তবে আইসিসি ব্যবস্থা নিলে আমাদের বেশি কিছু কারার থাকে না।
ক্রিকেটারদের সাথে বোর্ডের সাথে গ্যাপ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রিকেট প্লেয়ারদের ধর্মঘট দরকার ছিলো না। তাদের দাবি থাকলে তারা এটা বোর্ডকে জানাতে পারতো। আমার জীবনে আমি শুনিনি খেলোয়াড়রা ধর্মঘট করে। ওই সমস্যাটা মিটমাট হয়ে গেছে। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের যেভাবে সহোযোগিতা করি খুব কম দেশ এভাবে সহোযোগিতা করে।
তিনি আরো বলেন, খেলার সাথে ক্যাসিনোর কোনো সম্পর্ক নেই। যারা জড়িত তাদের ধরা হয়েছে। আগে কোনো সংবাদে দেখিনি দেশে ক্যাসিনো খেলা হয়। কোথাও কোনো নিউজ পাইনি আমি। আপনারা (সাংবাদিকরা) এত খবর রাখেন কিন্তু ক্যাসিনো নিয়ে কোনো কিছু লিখেননি কেন। আপনারা জাতিকে কি জবাব দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি চ্যানেল প্রায় ৩৪ টা চালু আছে। কোনো সংবাদ মাধ্যমে কখনো ক্যাসিনোর সংবাদ দেখিনি। দেশে ক্যাসিনোর মতো একটা ঘটনা ঘটে গেলো কেউ জানে না! এটা কোনো কথা হলো। তাই বলি কে কখন ধরা পড়ে তাতো বলা যায় না। খেলার সাথে ক্যাসিনোর কোনো সম্পর্ক নেই।
Development by: webnewsdesign.com