ময়মনসিংহের ভালুকা রেঞ্জের হবিরবাড়ী বিটের বিভিন্ন দাগে বনবিজ্ঞপ্তিত জমির উপর নির্মান হচ্ছে বহুতল ভবনসহ শতাধীক পাঁকাবাড়ী। অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগ সাজসেই এ দখলকার্য চলছে দেদারসে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় হবিরবাড়ী মৌজার বিভিন্ন দাগের বনবিজ্ঞপ্তিত জমি জবরদখল করে বহুতল ভবন ও পাকাবাড়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। হবিরবাড়ী মৌজার ৮৭ নং দাগে শিউলী আক্তার ৬টি রুমের একটি পাঁকাবাড়ী নির্মান করছে, ১৭০ নম্বর দাগে বহুতল ভবনসহ প্রায় ৬০টি রুমের পাঁকাবাড়ী নির্মান হচ্ছে। একই দাগে ৪০টি রুমের বাসা নির্মাণ করেছেন, (১) সুলতান মিয়া, (২) শরিফ মিয়া , (৩) জজমিয়া, (৪) জাকির হোসেন , (৫) সোহেল সর্ব পিতা মোঃ আবুল কাশেম, মৃত: ছফির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মোতালেব। ১৫৪ নং দাগে ইব্রাহিম বাউন্ডারি দিয়ে দখল করছে বনবিভাগের জমি, ১৮৫ নং দাগে একাধিক পাঁকা বাড়ী নির্মাণ হচ্ছে, ১৯ নং দাগে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসহ একাধিক পাঁকা বাড়ী, মনোহরপুর মৌজায় ২১৮ নং দাগে মেজর (অবঃ) জুলফিকার বনবিজ্ঞপ্তিত ২০ বিঘা বনভুমি দখল করে তৈরী করেছেন বিশাল বাগানবাড়ী, এখনও নির্মাণ কাজ চলমান। ধামশুর মৌজার ১০৪৬ দাগে নিজাম উদ্দিনের ছেলে হাবিজুল হাসান ডেবিট নির্মাণ করছেন বিশাল মাকের্ট, যা পুরোটাই বনভুমি। হবিরবাড়ী মৌজার ৯ নং দাগে বহুতল ভবন তৈরী করছে নুরুল ইসলাম (অবঃ সেনা সদস্য), তাইজ উদ্দিন, খোরশেদ তালুকদার, আ: বারেক ডাক্তারসহ অনেকেই একাধীক বহুতল ভবনসহ শতাধীক পাঁকাবাড়ী নির্মাণ হচ্ছে যা দেখার কেউ নেই।
এভাবেই ভালুকা রেঞ্জের হবিরবাড়ী বিটের বিভিন্ন দাগের বনবিজ্ঞপ্তিত জমি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে দেদারসে। এ ব্যাপারে হবিরবাড়ী বিট কর্মকতা হাফিজ উদ্দিন জানান, এইসব দাগে যারা জবর দখল করেছে খোঁজ নিয়ে খুব শিঘ্রই আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এভাবেই সরকারের শতকোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ।
Development by: webnewsdesign.com