মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মোট ৮৯টি উপজেলা ও থানায় একটি প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক সামঞ্জস্যতা বিধানের জন্য ‘এমপিও নীতিমালা ২০১৮’-এর ২২ ধারা প্রয়োগ করে ২৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত করা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শিক্ষা অনগ্রসর, ভৌগোলিকভাবে অসুবিধাজনক, পাহাড়ি, হাওর-বাওড়, চরাঞ্চল, নারীশিক্ষা, সামাজিকভাবে অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় শর্ত শিথিল করা হয়েছে। ৮৯টি উপজেলায় শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০০ জন এবং স্বীকৃতি মেয়াদ দুই বছর বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সর্ব্বোচ নম্বরপ্রাপ্ত ৫৮টি প্রতিষ্ঠান বাচাই করা হয়। বাকি ৩১টি উপজেলা থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদনই করেনি বলে বিবেচনা করা হয়নি।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় প্রতিষ্ঠান বাচইয়ের ক্ষেত্রে ১৭৭টি উপজেলা থেকে একটি প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির জন্য কাম্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক সামঞ্জস্যতা বিধানের জন্য ‘এমপিও নীতিমালা ২০১৮’-এর ২২ ও ৩৫/৩৬ ধারা প্রয়োগ করে উপজেলা বা থানায় সর্ব্বোচ নম্বরপ্রাপ্ত ৫৪টি কারিগরি ও ৪৫টি মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও দেশের দুর্গম অঞ্চল হাওর-বাওড়, চরাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০০ জন বা তার বেশি এবং স্বীকৃতি মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হয়েছে-এমন ৫১টি প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালা ২২ অনুযায়ী এমপিও দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে (ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) ১ হাজার ৯৬৭টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে ৪৩৯টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি) ১০৮টি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় (নবম শ্রেণি থেকে ১০ শ্রেণি) ৮৮৭টি স্কুল এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ স্তরে ১ হাজার ৭৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল।
উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের (একাদশ থেকে দ্বাদশ) ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে ৬৮টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কলেজ পর্যায়ের (একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) ৫৪৪টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে ৯৩টি। ৫৫৫টি ডিগ্রি কলেজ (স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ) আবেদন করলেও ৫৬টি প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করা হয়েছে।
অর্থাৎ ৫৩২ নতুন স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। বাকিগুলো প্রতিষ্ঠানের স্তর পরিবর্তন তথা যেসব স্কুল নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের এমপিও ছিল, সেগুলো মাধ্যমিক (নবম ও দশম শ্রেণি) স্তর এমপিভুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এমপিওভুক্তির বাছাই কমিটির আহ্বায়ক জাবেদ আহমদ বলেন, ‘এবারের এমপিও ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকবে। কারণ এখানে কোনো তদবির বা অন্য কিছুর আশ্রয় নেয়া হয়নি। মানসম্মত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভৌগলিক ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ বিবেচনায় কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিও পেয়েছে, সেটি একটি মানদণ্ড রক্ষা করেই। তাই এ এমপিও নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ২৭৩০টি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কারণে গড়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী গত জুলাই থেকে বেতন-ভাত পাবেন।
নতুন খরচ বাড়ল ৮৮২ কোটি টাকা
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১ হাজার ৬৫১টি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করায় এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ চলতি অর্থবছরে ৪৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা দরকার হবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য চলতি অর্থবছরে এমপিওখাতে ৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে যাচাই-বাছাই করে চলতি অর্থবছরে আরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এমপিওভুক্তির বাছাই কমিটির আহ্বায়ক জাবেদ আহমদ বলেন, ‘এবারের এমপিও ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকবে। কারণ এখানে কোনো তদবির বা অন্য কিছুর আশ্রয় নেয়া হয়নি। মানসম্মত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভৌগলিক ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ বিবেচনায় কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিও পেয়েছে, সেটি একটি মানদণ্ড রক্ষা করেই। তাই এ এমপিও নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ২৭৩০টি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কারণে গড়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী গত জুলাই থেকে বেতন-ভাত পাবেন।
নতুন খরচ বাড়ল ৮৮২ কোটি টাকা
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১ হাজার ৬৫১টি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করায় এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ চলতি অর্থবছরে ৪৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা দরকার হবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য চলতি অর্থবছরে এমপিওখাতে ৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে যাচাই-বাছাই করে চলতি অর্থবছরে আরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com