দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলকে ১ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এতে ১-১ সমতায় সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। এ জয়ে পাকিস্তানে কোনও সিরিজ ড্র করতেও সক্ষম হলো বাংলাদেশ।
ক্রিকেটে ছেলেদের নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও কোনও বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা মেয়েরাই এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ২০১৮ এশিয়া কাপ জয়ের পর এবারও ইতিহাস রচনা মেয়েদের হাত ধরে। পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ পুরুষ দল ২০০৯ সালের আগে দুটি সফরে গিয়ে করতে পারেনি, বাংলাদেশ নারী দল তাই করল। পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরই হারিয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজে না হেরে ফিরল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪৮.৪ ওভারে ২১০ রান তুলে পাকিস্তানি মেয়েরা। জবাবে, ব্যাটিংয়ে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা জয় তুলে নেয়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ওপেনার নাহিদা খান।
আরেক ওপেনার জাভেরিয়া খানের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। দলপতি বিসমাহ মারুফের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। ৩৬ রান করেন আলিয়া রিয়াজ। সানা মির ১৩ আর সিদরা নওয়াজ করেন ১৯* রান। বাংলাদেশের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ ৮ ওভারে ৩৫ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। ৯.৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় দুটি উইকেট পান সালমা খাতুন। পান্না ঘোষ একটি উইকেট দখল করেন। জাহানারা, নাহিদা আর ফাহিমা কোনো উইকেট পাননি।
রান তাড়ার শুরুটা বাংলাদেশের ভালো হয়নি। ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটির ২৭ রানই তুলে আউট হয়ে গেছেন শারমিন সুলতানা। দলের স্কোরে কোনো পরিবর্তন না এনে ফিরেছেন নিগারও। এরপরই সেরা সময়টা পার করেছে বাংলাদেশ। ১৮ ওভারে ৮২ রানের জুটি গড়েছেন ফারজানা ও মুরশিদা। ৪৪ রান করে ওপেনার মুরশিদার বিদায়ের পরও হাল ছাড়েননি ফারজানা। অধিনায়ক রুমানাকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেছেন আরও ৫৫ রান। ৩১ রান করে রুমানা বিদায় নেন ৩৯তম ওভারে।
রুমানা যখন আউট হয়েছেন বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৬৬। ৬৮ বলে ৪৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। মাত্র ২৪ রান দূরে রেখে ফিরেছেন ফারজানা। ৬৭ রানের ইনিংসে ৬টি চার ছিল তাঁর। এরপরই বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের মুখে পড়েছিল দল। ৯ বলে ৬ রানের সমীকরণ মেলানোর দায়িত্ব ছিল জাহানারা ও নাহিদার কাঁধে। এক বল আগে সেটা মিটিয়েছেন দুজন। এতেই এসেছে স্মরণীয় এই জয়। দল জিতিয়ে শুধু ম্যাচ সেরাই নন, সিরিজ সেরাও হয়েছেন ফারজানা।
Development by: webnewsdesign.com