অশালীন মন্তব্য করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান পদত্যাগ পত্র পাঠালেও, সংসদ সদস্যপদ থেকে চাইলেই তাকে সরিয়ে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ”সংসদ সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। একজন সংসদ সদস্যকে তো চাইলেই যে কেউ বাদ দিতে পারে না। ”
অশালীন বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুরে ইমেইলের মাধ্যমে মুরাদ হাসান তার পদত্যাগ পত্র পাঠান।
এরপর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেখানে তিনি মুরাদ হাসানের মধ্যে পরিবর্তন দেখার কথা উল্লেখ করেন।
”গত কয়েকমাস ধরেই তার মধ্যে আমি কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। তার কিছু বক্তব্য, কিছু ঘটনা আসলে সরকার এবং দলকে বিব্রত করেছে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করার জন্য বলেছেন।”
কী ধরনের পরিবর্তন দেখা গেছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মি. মাহমুদ বলেছেন, ”আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি আগে যেরকম ছিলেন, গত তিনমাস ধরে (তার) একটু পরিবর্তন মনে হচ্ছিল। বিভিন্ন ঘটনা এবং কর্মকাণ্ডে সেটা মনে হয়েছিল। তিনি বেশ কিছু বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো দলের সঙ্গে বা সরকারের অভ্যন্তরে আলোচনা না করেই বলেছেন।”
মোহাম্মদ মুরাদ হাসান জামালপুরে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। তিনি আর সেই পদে থাকবেন কিনা, অথবা তার প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ হবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, জামালপুরের পদের বিষয়ে সেখানকার কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আর প্রাথমিক সদস্যপদের বিষয়ে দল আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
Development by: webnewsdesign.com