আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ থেকে বেরিয়ে গেছে ব্রিটেন। দেশটি গত ৪৭ বছর ধরে ইইউ’র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল।
২০১৬ সালে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আয়োজিত গণভোটের রায়ের তিন বছরেরও বেশি সময় পর সদস্যপদ ছাড়লো ব্রিটেন।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় চূড়ান্তভাবে ব্রেক্সিট কার্যকর করে ব্রিটিশ সরকার। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটিতে একদিকে যেমন উল্লাস-উদযাপন ছিল তেমনি বিক্ষোভও করেছে ব্রেক্সিট-বিরোধীরা। ২০১৬ সালের গণভোটে স্কটল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়েছিল। সে কারণে গতকাল স্কটল্যান্ডে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে আনন্দ-পার্টি করেছে ব্রেক্সিটপন্থীরা।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় জনসন একে ‘বিস্ময়কর ও আশা জাগানিয়া মূহুর্ত’ বলে মন্তব্য করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের ক্ষণ গণনা চলে এবং পুরো দেশ জুড়ে সামাজিক ক্লাবগুলোতে ব্রেক্সিট পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রেক্সিট উদযাপন করতে পার্লামেন্ট স্কয়ারে জমা হয় শত শত মানুষ। সেসময় তারা আনন্দ-উল্লাস করে। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউনিয়ন পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
নর্দান আয়ারল্যান্ডের আরমাঘ সীমান্তে বর্ডার কমিউনিটি নামে ব্রেক্সিট বিরোধী একটি প্রচারণা গ্রুপ বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ করেছে। রাত ১১টার সময় স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন ইইউ’র একটি পতাকার ছবি টুইট করে বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউরোপের কেন্দ্রে ফিরে আসবে স্কটল্যান্ড।
এছাড়া, কার্ডিফে ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড বলেন, ইইউ ত্যাগের পক্ষে ওয়েলস ভোট দিলেও এটি একটি ‘ইউরোপীয় জাতি’ হয়েই থাকবে।
Development by: webnewsdesign.com