ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, অনেকে ঘরে বসে আরাম আয়েশ করেছেন, ফেসবুক ব্যবহার করেছেন তাই ভোটকেন্দ্রে যাননি। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে একথা বলেন তিনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত দুই সিটির ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, ৩০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে, এর বেশি নয়। যারা কেন্দ্রে গিয়েছেন সবাই ভোট দিতে পেরেছেন। কেউই ভোট না দিয়ে ফেরেননি।
এ দিকে, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে এক রকম অলস সময় কাটান প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট এবং নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩০টি কেন্দ্র ঘুরে সময় সংবাদের প্রতিবেদক আজহার লিমন জানিয়েছেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অত্যন্ত কম।
যদিও সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম দেখার পর নির্বাচনী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রার্থীরাও বলেছিলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু বেলা সোয়া একটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল কেন্দ্রে দেখা গেছে, চুপচাপ বসে আছেন পোলিং এজেন্ট এবং প্রিসাইডিং অফিসাররা।
কার্জন হল এবং বিজ্ঞান অনুষদের ভূ-তত্ব বিভাগ- সব মিলিয়ে সেখানে ৩ হাজার ৩শ’ ভোটার ভোট দেয়ার কথা। কার্জন হলে রয়েছে ৭টি বুথ; সেখানে ২২ ভোটারের ভোট দেয়ার কথা। সেখানকার একটি বুথে দেখা যায়, ৩১৪ ভোটারের মধ্যে মাত্র ২১টি ভোট পড়েছে।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণ শুরুর পাঁচ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের লাইন বলতে যা বোঝায় তা চোখে পড়েনি। কোথাও কোথাও একেবারেই ফাঁকা। কিছু কিছু জায়গায় সামান্য লোকজন দেখা গেছে। ভোট দিতে মানুষের ছুটে আসার মতো কোনো কিছুই চোখে পড়েনি। অবশ্য ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাও।
Development by: webnewsdesign.com