মামুন আব্দুল কাইয়ুম, গাইবান্ধা থেকেঃ উত্তর অঞ্চলের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার আগেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক থেকে ২২ কি:মি: দুরে গাইবান্ধা জেলা শহর অবস্থিত। যোগাযোগ ভাল না থাকায় এ জেলার ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটছে না।
তিস্তা সেতু নির্মিত হলে লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ গ্ইাবান্ধা শহরের ভিতর দিয়ে যাতায়াতের সুযোগ পাবে। এতে একদিকে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের সংগে ঢাকার দুরুত্ব কমবে, সেই সাথে ব্যবসা বানিজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এল,জি,ই,ডি গাইবান্ধা জেলা কার্যালয় সুত্র জানায় চিলমারী ও হরিপুর এলাকার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীতে ১৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৬ মিটার প্রস্ত সেতুতে ৩১টি স্প্যান নির্মানের জন্য ২০১৮ইং সালে ৪ নভেম্বর দরপত্র আহবান করা হয়।
সেতুটি নির্মানে ব্যয় ধরা হয় ৩৫৫ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহনের জন্র ১০ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা, নদী শাসনের জন্য ৮৭ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা বাকি টাকা সেতু নির্মানে ব্যয়ের জন্য নির্ধারন করা হয়। সেতুটির মোট সংযোগ সড়ক ৮২ কি:মি:, কুড়িগ্রামের অংশে ৬ কি:মি:, গাইবান্ধায় ৭৬ কি:মি:।
গত ৩০ জুন সেতুটি নির্মানের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দাতা দেশ সৌদি আরব অর্থ ছার না করায় সেতু নির্মান শুরু না করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গাইবান্ধা জেলার এল,জি,ই,ডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম শেখ বলেন, সেতুটির কাজের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে একনেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে পুনরায় কাজের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
Development by: webnewsdesign.com