বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা নিরাপদ জোন তৈরি করা হয়েছে। নারী ও শিশুদের জন্য এই জোন ৬০০ ফুট দীর্ঘ বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ জোনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা ড্রেসিংরুম ও লকাররুম করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, কক্সবাজার প্রশাসন সৈকতে নারী ও শিশুদের বিশেষ সুরক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে এ জোনে অনেক নির্বিঘ্নে আনন্দে মগ্ন থাকা যাবে। পর্যটকবান্ধব হিসেবে কক্সবাজারকে গড়ে তুলতে আমরা সবাই কাজ করছি। হয়তো এ রকম ছোট উদ্যোগগুলোই পর্যটনে বড় ভূমিকা রাখবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সৈকতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে নারী ও শিশুরা। তাদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা এই জোন। যেখানে তারা নিশ্চিত ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। পর্যটকদের জন্য আগে থেকেই কাজ করছি আমরা। জনবল কম হলেও আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাব।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশুর জন্য সংরক্ষিত জোনের উদ্যোগের ফলে পর্যটকরা নির্বিঘ্নে গোসল করতে পারবে। থানায়ও একটি আলাদা জোন করা হয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার কামালসহ সৈকত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি বিচকেন্দ্রিক একাধিক ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। সৈকতে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এসব ঘটনা পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলায় জেলা প্রশাসন বৈঠক করে এমন জোন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
Development by: webnewsdesign.com