অবশেষে এমপিওভুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজারের আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ। দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।
জানা গেছে, সারাদেশে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। বুধবার ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্তির এই ঘোষণা দেন।
২০১০ সালের ০১ জুলাই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ইউসুফনগর (রাতগাঁও) গ্রামে এই ‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান কলেজ’টি প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজের শুভ উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। নিজের পিতার নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন দুই ভাই বিশিষ্ট শিল্পপতি এমএ রহিম (সিআইপি) ও মুজিবুর রহমান মুজিব।
প্রায় ২ একর জায়গার ওপর নির্মিত এই কলেজে রয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান চর্চা করার জন্য আছে একটি পাঠাগার। ডিজিটাল শিক্ষায় যুগোপযোগী করার জন্য একটি কম্পিউটার ল্যাব। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদেরকে কলেজে আনা-নেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক ২টি বাসও রয়েছে। কলেজের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদেরকে ইউনিফর্ম পর্যন্ত সরবরাহ করা হচ্ছে। যা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেও এমন কলেজ বিরল।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ সুশিক্ষার আলো ছড়াতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে এই কলেজ কখনো পিছপা হয়নি। জন্মলগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে আসছে। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে মেধাবী সমাজ গঠনে। দিনে দিনে বাড়ছে সাফল্য ও কাঙ্খিত অর্জন।
‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলার, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, ৬ বারের সিআইপি এম আর গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রহিম। কলেজটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেন তার আপন ছোটভাই মুজিবুর রহমান মুজিব। কলেজটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক।
দুই ভাই মিলে দিনরাত ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটিকে বর্তমানে এক মনোরম ও আনন্দদায়ক পরিবেশে শিক্ষার পাঠদানের সুব্যবস্থায় উপনীত করেছেন। প্রতিমাসে কলেজের জন্য ব্যয় করছেন ১০-১২ লক্ষ টাকা। যার ফলে প্রতি বছরই আসছে সন্তোষজনক ফলাফল। ‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ থেকে সুশিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সিআইপি এম এ রহিম বলেন, “ইউসুফনগর গ্রামকে আমরা শতভাগ শিক্ষিত একটি মডেল গ্রাম হিসেবে তৈরী করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য এটা আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ। আমরা প্রমাণ করেছি যে, প্রবাসীরা চাইলে দেশের জন্য অনেক বড় অবদান রাখতে পারে। এভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য সকল বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান সাবেক এই ব্রিটিশ কাউন্সিলার”।
Development by: webnewsdesign.com