ব্রেকিং

x

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ১৩, এগারোটি গ্রাম ছাইয়ের তলায়

রবিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ | ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | 122 বার

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ১৩, এগারোটি গ্রাম ছাইয়ের তলায়
স্থানীয় সময় শনিবার আগ্নেয়গিরিটি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়র জাভা দ্বীপে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে শনিবার শুরু হওয়া অগ্ন্যুৎপাতে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৩জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে দেশটির আপদকালীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মাউন্ট সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট বিশাল ছাইয়ের স্তুপের নিচে পুরো তলিয়ে গেছে বেশ কিছু গ্রাম।



আগ্নেয়গিরির ছাই বাড়িঘরের ছাদ পর্যন্ত ঢেকে দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন ঘন ধোঁয়ার মেঘ সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে দেয়ায় দিনের বেলাতেও আকাশ রাতের মত ঘন অন্ধকার হয়ে আছে।

কর্মকর্তারা বলছেন অন্তত ৫৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে, এদের মধ্যে অনেকে গুরুতরভাবে পুড়ে গেছে।

ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থা বিএনপিবি বলছে অগ্নিদগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

indunasia2

অগ্ন্যু’পাতের ভয়াবহ ছাই থেকে ছুটে পালান গ্রামের মানুষ

অগ্ন্যুৎপাতে লুমাজাং প্রদেশের অন্তত ১১টি গ্রাম ছাইয়ের নিচে সম্পূর্ণ চাপা পড়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো গ্রামবাসীদের অনেকেই মসজিদ এবং অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

কিন্তু উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে দম বন্ধ করা ধোঁয়া আর বিদ্যুত সংযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে। এছাড়াও অগ্ন্যুৎপাতের পর ঝড়বৃষ্টিতে আগ্নেয়গিরির লাভা ও ধ্বংসাবশেষ মিশে কাদায় পরিণত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় একজন কর্মকর্তা তরিকুল হক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন ওই এলাকার সঙ্গে নিকটবর্তী মালাং শহরের সড়ক ও সেতু যোগাযোগও অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

“খুব দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে,” বলেন তিনি।

ছাইয়ে চাপা পড়া ভবনগুলোতে আটকে পড়া দশজনকে ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিএনপিবি জানাচ্ছে।

indunasia1

এগারোটি গ্রাম ছাইয়ের তলায়

জরুরিকালীন কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় মিডিয়াগুলো আকাশ ঢেকে ফেলা বিশাল ছাইয়ের মেঘ থেকে প্রাণ বাঁচাতে এলাকার মানুষদের ছুটে পালানোর ভিডিও শেয়ার করেছে সামাজিক মাধ্যমে। নিচে দেয়া এরকম দুটি পোস্ট স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের চিত্র তুলে ধরেছে।

সামাজিক মাধ্যমে আতঙ্কিত মানুষের পালানোর দৃশ্য

এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর প্রায় আড়াইটা নাগাদ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে তিন মাইল (পাঁচ কিলোমিটার) পর্যন্ত এলাকায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না।

নামাজের সময়সূচি

[prayer_time]

Development by: webnewsdesign.com