সরকারি ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি কেন কালো তালিকাভুক্ত করা হবে না, তা জানতে আজ বিকেলে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে থাকা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। পাশাপাশি ওই পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কালো তালিকাভুক্ত হলে সামনের একাধিক পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, কিছু সরকারি ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছে বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
গত শনিবার ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত জালিয়াত চক্রের সদস্যদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সে জন্য পরীক্ষার্থীরাসহ অনেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগকে সত্য বলে মনে করেন। প্রসঙ্গত, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির ডাকা টেন্ডারের মাধ্যমে ওই পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছিল আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
গত শনিবার বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। একাধিক প্রার্থীর দাবি, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০০টি প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া গেছে।
ফেসবুকে উত্তরপত্র ছড়ানোর ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, পরীক্ষা চারটার সময় শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০০টি প্রশ্নের ‘সঠিক উত্তর’ ফেসবুকে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এটাকে তাঁরা প্রশ্নপত্র ফাঁস বলে দাবি করছেন।
Development by: webnewsdesign.com