প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান-এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে কারো হাত নেই। এটা আমরা ঠেকাতে পারবো না। কিন্তু মানুষের জানমাল রক্ষা করার ব্যবস্থাটা আমরা নিতে পারি। সেটা আমরা নিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মে) গণভবনে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নেয়া ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ হাজার ২৪১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা যখন ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি, তখন এই দুর্যোগ আম্ফান। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে কারো হাত নেই। এটা আমরা ঠেকাতে পারব না। কিন্তু মানুষের জানমাল রক্ষা করার সে ব্যবস্থাটা আমরা নিতে পারি। সেটা আমরা নিয়ে যাচ্ছি।
দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নেয়া ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পর্যন্ত যে ব্যবস্থাগুলো নেয়া হয়েছে, যেটুকু প্রস্তুতি, তাতে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই যে, যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রস্তুতি আমাদের আছে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যাতে এতে আমাদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। ঝড়ের শক্তিটা যাতে একটু কমে যায়, বাংলাদেশে আসতে আসতে।
আবহাওয়া দফতর আধুনিক করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কয়েকটি চুক্তি আমরা করেছি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছি যাতে ঠিক সময়ে আমরা সঠিক তথ্য পাই।
গণভবনে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবনে সংযুক্ত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও তিন বাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Development by: webnewsdesign.com