ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আজ বুধবার দুপুরে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এরপর বেলা দেড়টার দিকে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে রায় নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার। আর বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে সাংবাদিকদের কাছে রায়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘রায়ে শাস্তি যা হয়েছে, তা যথেষ্ট। বিচার বিভাগ তাঁদের প্রজ্ঞা ও আইন অনুযায়ী যথেষ্ট সঠিকভাবে বিচার করেছেন বলে আমরা মনে করি। এর ওপর আমাদের আস্থা রাখা উচিত। আমরা আশা করি, রায়টি যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়। ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে যে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
আবরারের পরিবারের প্রতি সব সময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন বুয়েট উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘আবরারের পরিবারের প্রতি আমরা সব সময়ই সহমর্মিতা দেখিয়েছি। বুয়েটের পক্ষ থেকে যত দূর সম্ভব আইনি ও আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতাও করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও করা হবে। আইনি সহায়তা, আনুষঙ্গিক খরচ প্রভৃতি সবকিছুই আমরা বুয়েট থেকে বহন করছি। এ বাবদ এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক সংকটে পড়ায় আবরারের পরিবারকে গত ১ জুলাই থেকে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা করে আমরা দিচ্ছি। নৈতিক দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা এই সহযোগিতা করে যাব।’
দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ২২ জনকে আজ আদালতে আনা হয়। পলাতক তিনজন। আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী।
Development by: webnewsdesign.com