প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গতকাল সন্ধায় অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানে মর্যাদাপূর্ন গ্লোবাল উইমেনস লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কার গ্রহনের পর অনুষ্ঠানে তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ৪ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর আগে অষ্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জুলি বিশপ গতকাল প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রধান মন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখার আহব্বান জানান। সিডনির ইন্টার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের ডিনারের পর পুরস্কার গ্রহন করে, প্রধান মন্ত্রী নারী অধিকার নিশ্চিত করতে একটি জোট গঠনের তাগিত দেন। যুক্ত রাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা “গ্লোবাল সামিট অব উইমেনস” বাংলা দেশের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা ও ব্যবসায়ীক উদ্যগের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য এই পুরস্কার দিয়েছে। প্রধান মন্ত্রী তিন দিনের সফরে গত কাল সিডনি পৌছেন। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এই “গ্লোবাল উইমেনস লিডাশীপ অ্যাওয়ার্র্ড যে সব নারী তাঁদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নিজেদের ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন, সে সব নারীদের উৎসর্গ করেছেন। প্রধান মন্ত্রীর সম্মান সূচক অ্যাওয়ার্ড প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রীর সংগে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। এ অনুষ্ঠানে নৈশ ভোজের পর শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে তাঁর সম্পর্কে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায় ও নারী কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ৪ দফা প্রস্তার তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল উইমেনস লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং সম্মানবোধ করছি। শেখ হাসিনা তাঁর চার দফা দাবী তুলে ধরেন, প্রথমত: নারীর সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত একমুখী ধারনা পরিহার করতে হবে দ্বিতীয়ত: প্রন্তিক ও ঝুঁকিতে থাকা নারীরা এখনো কম খাদ্য পাচ্ছে, স্কুলে যেতে পারছেনা, কম মজুরিতে কাজ করছে, এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। কোন নারী ও মেয়েকে পেছনে রাখা উচিত নয়। তৃতীয়ত: নারীদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে এবং … চতুর্থত: জীবন ও জীবিকার জন্য নারীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরী করতে হবে। তিনি বলেন বাংলাদেশ এখন নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল আন্দোলনে নারীদের ত্যাগ ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এবং মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানির কথাও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলা দেশের অবস্থান ৪৭তম এবং দক্ষিন এশিয়ায় প্রথম স্থানে। নারী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ১৫৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
Development by: webnewsdesign.com