আনসার আল ইসলামের অনলাইন দাওয়াহ শাখার প্রধান হাসিবুর রহমান ওরফে আয়মান আল গালিবকে (২১) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
রোববার রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি রাজধানীর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। অনলাইন জঙ্গিবাদের কথিত ‘ত্রিরত্ন’ এর ‘একরত্ন’ এই হাসিবুর রহমান। তাকে গ্রেফতার করায় অনলাইনে প্রচারণা ৮০ শতাংশ কমে আসবে বলে দাবি করেছে সিটিটিসি।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় জঙ্গিবাদের আদর্শে দীক্ষিত হন হাসিবুর রহমান। আনসার আল ইসলাম ও আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী সংগঠন আল কায়েদার মতবাদ প্রচারকারী দুটি আইডিতে যুক্ত হয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন জঙ্গিবাদ প্রচারে।
সিটিটিসি প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তার মোবাইল ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস সার্চ শুরু করে প্রচুর পরিমাণে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করার মতো কন্টেন্ট পাওয়া গেছে। সদস্য সংগ্রহ করার জন্য সহজ সরল ছাত্রদেরকে কীভাবে জিহাদের পথে উদ্বুদ্ধ করা যায়, রাষ্ট্র এবং সরকার বিরোধী প্রচারণা, দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে চ্যালেঞ্জ করে যে সব লেখালেখিসহ এ জাতীয় কাজে তিনি মনোনিবেশ করেন।
তিনি জানান, হাসিবুর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের অনলাইন দাওয়াহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। সে ২০১৬ সালে এসএসসি পাস করে ঢাকায় অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়। এ সময় সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। সে উগ্রবাদের বিভিন্ন বই পড়তে থাকে।
প্রথমে সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক সহিংস উগ্রবাদী সংগঠন আল কায়েদার আদর্শ ও মতবাদ প্রচারকারী ফেসবুক আইডি ‘জামিল হাসান’ ও ‘জামশেদ হোসেইনের’ সঙ্গে যুক্ত হয়। এই আইডি দুটিতে তালেবান ও আল কায়েদার বিভিন্ন লেখালেখি হতো। তাদের বিভিন্ন সংবাদ প্রচার করা হতো। হাসিবুর রহমান তাদের লেখা ও মতাদর্শে আগ্রহী হয়।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের দিকে হাসিবুর রহমান আল কায়েদা ও আনসার আল ইসলামের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে নিজেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি শুরু করে। এসব লেখালেখির জন্য সে ‘আযযাম আল গালিব’ নামে ফেসবুক আইডি খোলে। এই নামে সে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খুলে ফেসবুক ও টেলিগ্রামে আনসার আল ইসলাম ও আল কায়েদার সমর্থনে লেখালেখি শুরু করে।
পাশাপাশি ফেসবুকে মুয়াহিদ মুসলিম নামে আরও একটি পেজ ওপেন করে। সেখানে সে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। সদস্য সংগ্রহ করতে থাকে। এই পেজটি থেকে উগ্র মতবাদ ছড়ানোর অভিযোগে বিভিন্ন সময় তার পেইজটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ডিজেবল করে রাখে।
Development by: webnewsdesign.com