সর্বকালের শ্রেষ্ট্র মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বেলেছেন, ‘শিক্ষার জন্য যদি সূদুর চীনে যেতে হয় তবু যাও শিক্ষা গ্রহন কর’। ওনার এ উপদেশ সদা সর্বদা সত্য। শিক্ষার কোন বয়স নাই তাঁরই প্রমাণ করলেন নাটোরের গরুদাসপুর উপজেলার আনন্দ নগর গ্রামের তাহমিনা । এবারের এস,এস,সি পরীক্ষা-২০১৮ মা ও ছেলে একসঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছেন। ফলাফলে ছেলের চেয়ে তুলনা মূলক ভাবে ভালো রেজাল্ট করেছেন মা। তাহমিনা বিনতে হক ( ৩৫)। পেশায় তিনি একজন গৃহিনী। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্বামী নিয়ে তাঁর ছোট একটি সংসার। তিনি জীবন যুদ্ধে কাজের ফাঁকে পড়াশোনাও চালিয়ে যান। ছেলে তাওহীদুল ইসলাম ( ১৬) লেখাপড়ার সময় দিতে গিয়ে তিনি নিজেও একটি স্কুলে ভর্তি হন এবং প্রতিদিন মা ও ছেলে ৪ ঘন্টা পড়াশোনা করেন। স্বামী আলমঙ্গীর হোসেন রঞ্জু চাচঁকৈর বাজারের একজন ঔষধ ব্যবসায়ী। নাটোরের আনন্দ নগর গ্রামে তাঁদের বাড়ী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তাহমিনা ৩ টি গরু, হাাঁস-মুরগী পালন করেন। একটি গাভী প্রতিদিন ৮ লিঃ দুধ দেয়। এছাড়া ৬০ টি লিচু গাছ, ১২০ টি আম গাছ দেখাশুনা তাঁর নিত্যদিনের কাজ।
এত ব্যস্ততার মাঝে সব ঝামেলা মিটিয়ে স্ত্রীর এই সাফল্যে স্বামী আলমগীর খুব খুশী। আনন্দ নগর গ্রামে এই পরিবারে এখন আনন্দের ছড়াছড়ি। গ্রামের লোক তাঁদের এক নজর দেখার জন্য বাড়ীতে ভীঁড় জমাচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com