বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যক গতিশীলতা বৃদ্ধি ও যানজট নিরসনে খোলা হল কাস্টমস গেট নিয়ন্ত্রণ (সিসিএন)অফিস।
মঙ্গলবার সকাল ১১:৩০ মিনিটের সময় বেনাপোল বন্দরের বাইপাস সড়কের ছোট আঁচড়া নামক স্থানে ফিতা কেটে এ নিরাপত্তা গেটের উদ্বোধন করেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী।
কাস্টমস কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, দিন দিন এ পথে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কিছু অবকাঠামগত সমস্যার কারনে বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছিল। বিশেষ করে যানজটে পণ্য পরিবহনে সমস্যা ও পথচারীদের ভোগান্তি হচ্ছিল।
বন্দরের বাইপাস সড়কে কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ গেট অফিস উদ্বোধনে এসব সমস্যার অধিকাংশ অবসান হবে উল্লেখ করে তিনি বৈধ ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মারুফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম, কাস্টমস যুগ্ম কমিশনার এহসান কবীর, ডেপুটি কমিশনার রুবেল হোসেন, অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেন, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন।
জানা গেছে, বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাসের পর বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে কাস্টমস ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যৌথভাবে বাশকল গেট বসিয়ে কাগজপত্রের পরীক্ষা করতেন। এতে মহাসড়কে সব সময় যানজট লেগে থাকতো। এছাড়া ডিজিটাল বন্দরে বাশের তৈরি নিরাপত্তা গেট নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হচ্ছিল।
এদিকে বাইপাস সড়কে কাস্টমস নিরাপত্তা গেট অফিস স্থাপনে দ্রুত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানী-রপ্তানীকারকরা।
Development by: webnewsdesign.com