আবহমান বাংলায় নদী মাতৃক বাংলাদেশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও নদ নদীর ভরা যৌবনে পানির কলতানে স্রোত ধারায় জেলেরা মাছ ধরতো, পাল তুলে মাঝি গান গাইত, সৌন্দর্যে অপরূপ এই সব নদ নদী কালের সাক্ষী হয়ে এখন মৃত। ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব, জলবায়ুর পরিবর্তন ও নদ নদীর উৎসমুখে স্লুইচ গেট এবং ক্রস বাঁধ নির্মানের প্রভাবে নদ নদীর পানি ধারন ক্ষমতা ও আয়তন কমে এসেছে। অধিকাংশ নদ নদী মাছের খামার আর ফসলের জমিতে পরিনত হয়েছে। ফলে জেলার ৬২৮ কি: মি: নদী পথের মধ্যে ৪৫০ কি: মি: বিলুপ্ত হয়ে কোন ভাবে টিকে আছে ১৭৮ কি; মি: নৌ পথ। যার ফলে ১৬টি নৌবন্দর ও ১২টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে জেলার ব্যবসা, বানিজ্য, কৃষি, অর্থনীতি। সর্বপরি হারাচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। জেলার লোকজন দখল মুক্ত করে পুন:খননের দাবী জানালেও প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নেই। পাবনার দক্ষিন পশ্চিমে পদ্মা পরে যমুনা উত্তরে বড়াল নদ এবং জেলা শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ইচ্ছামতি নদী। এছাড়া জেলা অন্যান্য স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গারুলিয়া, চিকনাই,আত্রাই, চক্রবর্তী, গুমানি, কাকেশ্বরী, ট্যাপাগাড়ী,শুটকিদহ সহ শাখা নদ নদী। ঈশ্বরদী, সাড়াঘাট, পাকশী, বেড়া উপজেলার নগর বাড়ী, কাজির হাট, নতুন ভারেঙ্গা, নাকালিয়া, বড়ালব্রিজ ঘাট। চাটমোহর, নূরনগর অষ্টোমনিষা, বোথরঘাট মির্জাপুর সহ বিভিন্ন নৌ বন্দর ও ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।
Development by: webnewsdesign.com